টিকটকের ফাঁদে পড়ে চুঁচুড়ার গৃহবধূ নিখোঁজ

14th January 2020 হুগলী
টিকটকের ফাঁদে পড়ে চুঁচুড়ার  গৃহবধূ নিখোঁজ


 টিকটকের ফাঁদে পড়ে নিরুদ্দেশ তরুনী বধু,পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী।হুগলীর চুঁচু্ড়া ভগবতীডাঙার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মন্ডলের স্ত্রী প্রতিমা মন্ডল টিকটক ভিডিও করত।ভিগো ভিডিওতে তাঁর প্রোফাইল নাম জাসমিন।মাত্র নয় মাসে ৪ লাখ ২৮ হাজার ফলোয়ার জাসমিনের।খুব অল্প সময়ে ভালো পরিচিতি হওয়ায় পাটনা দিল্লী সহ বিভিন্ন জায়গায় ডাক আসতেই থাকতো তাঁর।কখনো স্বামীর সঙ্গে, কখনো প্লেনে চেপে একাই চলে যেতো তরুনী বিভিন্ন জায়গায় ।গানের সঙ্গে লিপ দিয়ে নানা ভঙ্গিমায় টিকটক ভিডিও বর্তমান প্রজন্মের কাছে মুখোরচক ভাবে পৌঁছে দিতো।সেই ভিডিও বানিয়ে মাসে কয়েক হাজার টাকাও আসছিলো ঘরে তাই তরুনীর স্বামীর আপত্তি ছিলো না।বরং উৎসাহ দিতে দুটো দামী মোবাইল কিনে দেন স্ত্রীকে।গত ৩১ ডিসেম্বর দিল্লী যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় তরুনী।ফিরে এসে চার তারিখ রাজারহাটে যাওয়ার কথা ছিলো।হাওড়া থেকে ট্রেন ধরার পর ফোন বন্ধ হয়ে যায় তরুনীর।মাঝে একদিন ফোনে পাওয়া গেলে বলে নিউ দিল্লীতে রয়েছে। সেখানে র‍্যাম্প শো করাবে বলে নিয়ে যায় এক অপরিচিত যুবক।তারপর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি তরুনীর সঙ্গে।সেই যুবকেরও ফোন বন্ধ রয়েছে।পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।টিকটকের জন্যই তাঁর সর্বনাশ হলো ভেবেও স্ত্রীর জন্য দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে প্রসেনজিৎ মন্ডলের।গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।